আজ || সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালায় ১১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ       বৈষম্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত       তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু       তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত    
 


তালায় দফাদার কামরুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

সাতক্ষীরা তালায় দফাদার কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা পুলিশ দিয়ে হয়রানির দুর্নীতি ভুমিদস্যু ও অনৈতিক কর্মকান্ডই একাধিক অভিযোগ উঠেছে ।

দফাদার কামরুল ইসলাম ইসলামকাটী ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের গোলাম মোস্তফা গাজীর ছেলে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাদ্রাসা ও ঈদগাহের জমি জবর দখল করতেও বিন্দু মাত্র কার্পন্য করেনি। এছাড়াও এলাকার নিরিহ মানুষকে রাতের আধারে মিথ্যা আসামী সাজিয়ে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়ায় কামরুলের মুল কাজ। এ ঘটনায় ঘোনা ও নারায়নপুর গ্রামের ৪২০ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করেছেন। বিষয়টি বর্তমানে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এলাকাবাসী দফাদার কামরুলের অত্যাচারের বিচার দাবি করেছেন।

তালার ঘোনা গ্রামের নিজামউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ শাহিনুর বিশ^াস (৩৮) জানান, ঘোনা গ্রামের গোলাম মোস্তফা গাজীর ছেলে দফাদার (গ্রাম পুলিশ) কামরুল ইসলাম গাজী একজন ঠক, প্রতারক, জাল-জালিয়াতকারী, পর সম্পত্তি জবর দখলকারী। সে ঘোনা মৌজার জেএলনং ৯২ খতিয়ান নং ২০২/১ দাগ নং ১০২৮, ১০২৯, ১০৩৫, ও ১০৩৬ দাগের ৪২ শতক জমি আছিয়া বেগম স্বামী আব্দুল দালাল ঘোনা গ্রাম ১৯৮৫ সালে মাদ্রাসা ও ঈদগাহের নামে দানপত্র করেন। কিন্তু দফাদার কামরুল সেই মাদ্রাসা ও ঈদগাহের সম্পত্তি গত ৪ বছর আগে গায়ের জোরে দখল করে নেয়। মাদ্রাসা ও ঈদগাহের ৫০ টি গাছ কেটে নিয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। কতিপয় অসৎ প্রশাসনের সহযোগিতায় দফাদার কামরুল গাজী গ্রামবাসীর কাছে এখন ত্রাসের কারণ।

ঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব মোড়লের ছেলে শফিকুল মোড়ল (৪৫) জানান, অপরিচিত লোক দিয়ে প্রশাসনের ছদ্মবেশে গ্রামের লোককে ভুয়া হ্যান্ডকাপ দিয়ে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে দফাদার কামরুল । ঘোনা গ্রামের হাফিজুর মোড়ল এর নিকট হইতে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক নগদ চল্লিশ হাজার টাকা আদায় করে। উক্ত দফাদারের অত্যাচার ও অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

গ্রামবাসী কামরুলের এহেনও অন্যায় অত্যাচারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট বিচার দাবি করেছেন।
এবিষয়ে দফাদার (গ্রাম পুলিশ) কামরুল ইসলাম জানান, জমি-জমা আমার নামে না সব আমার পিতার নামে। আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি আমি ভোগ দখল করছি। কামরুল আরো বলেন পত্রিকায় লেখালেখি করে কী করবেন? কিছুই হবে না আমার। এর আগেও আমার বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি হয়েছে।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে দফাদার কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র এসেছে। একপক্ষকে ডেকে শুনানী করেছি। এরপর উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানী করা হবে। এছাড়াও আরোও অনেক তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Top